Skip to main content
 

বিচার বিভাগ, রাঙ্গামাটি

ইতিহাস

ভৌগোলিকভাবে হিমালয় অঞ্চল হতে দূরে দক্ষিণে শাখা প্রশাখা বিস্তৃত পাহাড়ী এলাকা নিয়ে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অবস্থানবাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক সদর দপ্তর রাঙামাটি দেশের সর্ববৃহৎ জেলা১৮৬০ সালের ২০ জুন রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবন- এই তিন পার্বত্য  অঞ্চলকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা সৃষ্টি হয়গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশনা Bangladesh District Gazetteers এর তথ্যমতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মুঘল শাসনাধীন বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী ইংরেজদের হাতে চলে আসে ১৮৬০ সালের ২২নং আইন এবং একই বছরের ২০ জুন তারিখের ৩৩০১নং প্রজ্ঞাপন অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা জেলা হয় জেলা সৃষ্টির পূর্বে এর নাম ছিল কার্পাস মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১৯৮১ সালে বান্দরবন এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা সৃষ্টি করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার মূল অংশ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্রথাগত রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় রয়েছে চাকমা সার্কেল চীফ ব্রিটিশরা আগমনের পূর্বে কার্পাস মহল ছিল ত্রিপুরা ,মুঘল ,চাকমা আরাকানের রাজাদের যুদ্ধক্ষেত্র চাকমা রাজা বিজয়গিরি জয় করতে করতে এই অঞ্চল জয় করে রাজ্য স্থাপন করে ১৭৬০ -৬১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলে প্রবেশ করে ১৭৩৭ সালে চাকমা রাজা শের মোস্তা খান মুঘলদের পরাজিত করে এই অঞ্চল হতে বিতাড়িত করেন জেলা আয়তনের দিক হতে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা দেশের একমাত্র রিক্সা বিহীন শহর , হ্রদ পরিবেষ্টিত পর্যটন শহর   বাংলাদেশ হওয়ার পর আশির দশকে এই অঞ্চলে চার লক্ষ চরভাঙ্গা সেটলারদের পুনর্বাসিত করা হয় বর্তমানে চাকমা , মারমা , তঞ্চঙ্গা ,ত্রিপুরা ,মুরং ,বম, খুমি ,খেয়াং , চাক, পাংখোয়া , লুসাই , সুজেসাওতাল , রাখাইন সর্বপরি বাঙ্গালীসহ এই জেলায় ১৪ টি  জনগোষ্ঠী  বসবাস করে বৃটিশ আমল থেকে পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান বিশেষ প্রশাসনিক কাঠামোর পাশাপাশি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই কাঠামোতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছেপার্বত্য চুক্তির আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যাবলী সমন্বয় সাধনের জন্য রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু পুনর্বাসন এর জন্য ১টি টাস্ফফোর্স এবং পার্বত্য এলাকায় ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধ রাঙ্গামাটি

১৯৭১ সালে ১নং সেক্টরের অধীনে ছিল রাঙ্গামাটি জেলা মার্চে সারাদেশ যখন উত্তাল, তখন তার ঢেউ এসে লাগে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতেও ২০ এপ্রিল নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ একাই তাদের ২টি লঞ্চ ১টি স্পিডবোট ডুবিয়ে দেন এতে এক প্লাটুন (৪০-৪৫ জন) শত্রু সৈন্য নিহত হয় তাঁর এই বীরত্বের ফলে পাকিস্তানিরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধে তিনি একাই লড়ে তাঁর প্রায় দেড়শ সহযোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন শেষপর্যন্ত তিনি পাকিস্তানিদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে শাহাদাৎবরণ  করেন সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করেনানিয়ারচরের বুড়ি ঘাটে রউফ টিলায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন জাতির এই বীর সন্তান ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয় চূড়ান্ত অভিযান প্রথমে বরকল বাঘাইছড়ির পাকিস্তানি ঘাঁটিতে বিমান হামলা করা হয় ১৫ ডিসেম্বর ভোরে বরকলের ঘাঁটিটিতে মুজিববাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে হামলা করে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলা যুদ্ধে বেশকিছু পাকসেনা নিহত হয় এবং বাকিরা রাঙ্গামাটি শহরের দিকে পালিয়ে যায় একইসাথে কাউখালিসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি অবস্থানে হামলা করা হলে পুরো জেলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে এবং তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ফলে ১৫ ডিসেম্বরেই রাঙ্গামাটি শত্রুমুক্ত হয় তবে ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শত্রুমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বলে এই দিনকে রাঙ্গামাটি মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়

বিচার বিভাগ 

স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচারালয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি বিচার প্রার্থীর অধিকার হলেও ইংরেজরা পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বর্তমান তিন পার্বত্য জেলায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭ জানুয়ারী ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে তারিখে ২০টি ধারা বিশিষ্ট The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900 জারি করেন কাপ্তাই খালের পাড়ে অবস্থিত একটি দুর্গের উপর আক্রমনের পরিনতিতে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে বিভাগীয় কমিশনার পাহাড়ী উপজাতিদের জন্য একজন সুপারিনটেনডেন্ট নিযুক্ত করে পার্বত্য অঞ্চল হিসাবে রাঙামাটি জেলাকে চট্টগ্রাম হতে আলাদা করা হয় এবং একজন অফিসারকে রাঙামাটি পার্বত্য উপজাতিদের সুপারিনটেনডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয় ১৮৬৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অফিসার-ইন-চার্জ এর পদবী সুপারিনটেনডেন্ট হতে পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসক (Deputy Commissioner) করা হয় এবং সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের রাজস্ব বিচার ব্যবস্থার যাবতীয় বিষয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রদান করা হয়

২০০৮ সনের পূর্বে জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে  রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল কোর্টের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজের ক্ষমতা সম্পন্ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন এবং The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900 অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দায়রা জজের দায়িত্ব পালন করতেন

এভাবে ২০০৭ সনে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পূর্বে The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900 অনুসারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক জেলার সিভিল জজ হিসেবে দেওয়ানি মামলাগুলোর বিরোধ নিষ্পত্তি করতেন এবং আইনের ১০নং বিধি অনুযায়ী রাঙামাটি জেলার দেওয়ানি মামলায় জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করা যেতো

 ডেপুটি কমিশনার-এর আদেশের বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষ বিধান করা হয় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে  ব্যবস্থায় বিচার প্রার্থীর আইনজীবী নিয়োগ নিষিদ্ধ ছিল  দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থার উপর হাইকোর্টের কোন নিয়ন্ত্রণ   তত্ত্ববধান ছিল না

 বর্তমানে রাঙ্গামাটি বিচার ব্যবস্থাকে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথাআনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা  প্রথাগত ব্যবস্থাজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নির্দেশনায় প্রণীত সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একই প্রকৃতির আদালত  ট্রাইবুন্যাল থাকার জন্য সংবিধানের ১১৪ হতে ১১৬ক অনুচ্ছেদে অধঃস্তন আদালতের বিধান করা হয় এবং ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ হতে পৃথকীকরণের বিধানও সন্নিবেশ করা হয় ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার (52 DLR AD 82) নির্দেশনার আলোকে  নভেম্বর ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সারাদেশে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও ১৯৮১ সালে ঘোষিত The District (Extension to Chittagong Hill Tracts) Ordinance 1984-এর মাধ্যমে বৈধতা প্রাপ্ত তিন পার্বত্য জেলায় (পার্বত্য চট্টগ্রামদেওয়ানি বিচার  দায়রা আদালত পৃথক হয়নি রেওয়াজ  প্রথার ভিত্তিতে ঐতিহ্যগতভাবে উপজাতীয় বিষয়ে পাড়ার কারবারীমৌজা হেডম্যান  সার্কেল চীফ বিচার করেন রেগুলেশনের আওতায় প্রণীত বিধিমালার ৪০ বিধি অনুসারে সার্কেল চীফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডেপুটি কমিশনার রিভিশন গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সনের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের ৬৬ ধারার বিধানমতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার আপিল গ্রহণ  শ্রবণ করে সিদ্ধান্ত দেন। ২০০৩ সালে The Chittagong Hill Tracts Regulation (Amendment) Act.2003 পাশ হয় এই আইনের মাধ্যমে ডেপুটি কমিশনার  বিভাগীয় কমিশনারের উপর ন্যাস্ত বিচারিক ক্ষমতা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অধীনস্ত বিচারিক কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয় BLAST সহ তিন পার্বত্য জেলার আইনজীবীদের দায়ের করা রীট পিটিশনের রায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার (61DLR109) প্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য জেলায় ০১ জুলাই ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জেলা  দায়রা জজ আদালত চালু হয়

The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900, এর ২০০৩ সালের সংশোধনী আইনের মাধ্যমে রাঙামাটি জেলায় জেলা দায়রা জজ পদ সৃষ্টি হয় এই আইন মোতাবেক পদাধিকার বলে জেলা জজ দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ পদাধিকার বলে সহকারী দায়রা জজ হিসাবে গণ্য হন সর্বপ্রথম জেলা দায়রা জজ হিসেবে জনাব দুদু মিয়া সরকার সর্বপ্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জনাব মোঃ বেলায়েত উল্লাহ দায়িত্ব পালন করেন সর্বপ্রথম যুগ্ম জেলা দায়রা জজ হিসেবে জনাব সৈয়দ কামাল হোসেন ০১//২০০৮ খ্রি. তারিখ হতে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৪ সালে রাঙ্গামাটি আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুমতিক্রমে আনুষ্ঠানিক পূর্নাঙ্গ কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। তখন রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সর্বপ্রথম সভাপতি হিসেবে জনাব ফণীন্দ্র লাল দাশ (২০০৪-২০০৫ সাল) দায়িত্ব পালন করেন

বিগত ০১ নভেম্বর ২০০৭ইং তারিখে বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের পর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সর্বপ্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় বিগত ০১/০৭/২০০৮খ্রিঃ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা দায়রা জজ আদালতের কার্যক্রম তৎকালীন জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত হতে মামলা স্থানান্তর পূর্বক প্রাথমিকভাবে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় এরপর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার কার্যক্রম ২০১৪ খ্রিঃ হতে নিয়মিত লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা নিয়োগ দানের মাধ্যমে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রম চলমান রয়েছে সর্বপ্রথম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে জনাব শেখ মোঃ বদিউল আলম, সিনিয়র সহকারী জজ দায়িত্ব পালন করেন ৩১ মার্চ ২০২১খ্রিঃ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা হয়  নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল . . এম. ইসমাইল হোসেন, বিচারক (জেলা দায়রা জজ) হিসেবে সর্বপ্রথম দায়িত্ব প্রাপ্ত হন সম্প্রতি ২৯/০৯/২২ খ্রিঃ অতিরিক্ত জেলা জজ পদ সৃষ্টির মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত সৃষ্টি হয়েছে উক্ত আদালতে জনাব তাওহিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ হিসেবে সর্বপ্রথম দায়িত্বপ্রাপ্ত হন রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় অর্থ ঋন, সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত পারিবারিক আদালত নেই

বৃটিশ আমল হতেই পার্বত্য অঞ্চলই একমাত্র এলাকা যেখানে বিচার ব্যবস্থা আইনের প্রয়োগ সারাদেশে প্রচলিত আইন বিচার ব্যবস্থা থেকে ভিন্নতর ব্যতিক্রমধর্মী পার্বত্য জেলায় প্রযোজ্য আইন-পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধান ১৯০০, The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900, বাজার ফান্ড বিধিমালা প্রবিধান ১৯৫৮, পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন(সংশোধন ১৯৯৮, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ভুমি খতিয়ান প্রস্তুতের বিধান প্রণয়ণের অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, ভূমি খতিয়ান অধ্যাদেশ ১৯৮৪, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ইত্যাদি)

পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধান ১৯০০ এর ০১নং রেগুলেশন দ্বারা পার্বত্য এলাকার শাসন কার্য বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত এছাড়া পার্বত্য জেলায় অন্য কোন আইন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে প্রয়োগ কিংবা সংশোধনী আনতে হলে সরকারকে অবশ্যই গেজেট জারির মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে ফৌজদারী আদালতগুলোতে সমতল জেলাগুলোর মতই ফৌজদারী কার্যবিধি, দন্ডবিধি সাক্ষ্য আইনের ব্যবহার প্রয়োগ যথারীতি হয়ে থাকে কিন্তু দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এখনব্দি পুরোপুরি কার্যকর নহে দেওয়ানী আদালত সমূহ সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম করে থাকে অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি, ১৯০০ এর সহিত সমসাময়িকভাবে কার্যকর রয়েছে রেগুলেশনের ৪০ বিধি মতে মৌজা হেডম্যান সার্কেল চীফরা সামাজিক রীতিনীতি প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী উপজাতীয় বিরোধ গুলোসহ কিছু কিছু ফৌজদারী অপরাধের বিচার করে থাকেন

বিগত ০২/০২/১৯৯৪ খ্রিঃ জেলা দায়রা জজ আদালত ভবন প্রতিষ্ঠিত হয় বিগত ২৪/০৭/২০২২খ্রিঃ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আইন মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এমপি মহোদয় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্ভোধন করেন ২৫/০৭/২০২২খ্রিঃ তারিখ হতে নতুন ভবনে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়

সংকলনেঃ

ইশরাত জাহান পুনম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

 

সহযোগিতায়ঃ

শিপলু কুমার দে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

মোঃ জামসেদ আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

 

তথ্য সূত্রঃ

  • Bangladesh District Gazetteers
  • The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900
  • 52 DLR AD 82
  • The District (Extension to Chittagong Hill Tracts) Ordinance 1984
  • The Chittagong Hill Tracts Regulation (Amendment) Act.2003
  • 61DLR109
  • মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম, লেখক-শরদিন্দু শেখর চাকমা।
  • এ্যাডভোকেট, রাইসুল কবির হিমন